কেমন মেয়ে বিয়ে করবেন!
কেমন মেয়ে বিয়ে করবেন! |
জেড নিউজ বিডি.কম রিপোর্টঃ প্রারাম্ভিকা,
বর্তমানে যুবক যুবতীদের অবস্থা হল, তারা পাপাচার করেও পরিতৃপ্ত হচ্ছে না বরং পাপাচারের নিত্য-নতুন পদ্ধতি খুঁজে বেড়াচ্ছে। একদল যুবক যখন নতুন নতুন পাপের মাধ্যমে একদিনে একাধিক বার মহান আল্লাহকে ক্রোধান্বিত করে তুলছে, অন্যদিকে আরেকদল যুবক এই পাপাচার থেকে বেঁচে থাকার জন্য নিয়মিত নফসের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে!
.
দ্বীনের পথে অটল থাকার পাশাপাশি হারাম রিলেশন থেকে বেচে থাকার জন্য বিবাহের কোন বিকল্প নেই!
কিন্তু
আমরা
সবচেয়ে
বেশি
ভুল
করি
বিয়ে
করার
ক্ষেত্রে পাত্রী নির্বাচনে, যার খেসারত সারা জীবন দিতে হয়!অভিভাবকের হরেক রকমের চাহিদার জাঁতাকলে চাপা পড়ে কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বিয়ে করে নিলেও পরবর্তীতে বনিবনা না হওয়ার কারণে অহরহ তালাক হচ্ছে!
তাই
ভাইদেরকে বলবো "কেমন সন্তান আপনি দুনিয়াতে রেখে যেতে চান প্রথমে এটা ঠিক করুন। তাহলে সন্তানের মা নির্বাচন করা আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে"! অর্থাৎ যেরকম মা দিবেন, সেরকম সন্তান পাবেন! আপনি মাদারগাছ রোপন করে খেজুর খাওয়ার আশা করা মানেই অরোণ্যরোদন!
মনে
রাখবেন
একটি
খামখেয়ালিপনা সারা জীবন,কবর, আখিরাতের কান্না!
.
করনীয়
ও
বর্জনীয়ঃ
--------------------------
(ক) উচ্চশিক্ষা:
উচ্চশিক্ষিতা স্ত্রীদের অধিকাংশই স্বামীদের মুল্যায়ন করেনা! এত পড়ালেখা করার পরেও স্বামীর সংসারে নিজেকে আবদ্ধ করে রাখাকে অনেকটা জেলখানার মত মনে করে! যার ফলে সংসার জীবনে পর্দাপন করলেও চাকুরীর নেশাটা কাটে না!
এখন
কথা
হচ্ছে
আপনি
তো
আর
আপনার
স্ত্রীর কামাই খাবেন না অথবা তার উপর নির্ভরশীল নন, তাই আপনার স্ত্রীর শিক্ষাগত ডিগ্রী আপনার কাজে আসবে না!
অনেকে
বলে
বাচ্চাকে পড়ানোর জন্য শিক্ষিত মেয়ে দরকার! আমি তাদের জিজ্ঞেস করি, বাচ্চাকে পড়াতে হলে কি মাস্টার্স পাশ মা লাগবে? আপনার বুঝা উচিত হাইস্কুলেও মাস্টার্স পাশ টীচার অপ্রতুল!
মুল
কথা
হচ্ছে,
স্ত্রীর ডিগ্রী আপনাকে সুখী করবে না! আপনার অভিভাবক হয়ত ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,ক্যাডার পুত্রবধূ পেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর ফেলতে পারেন কিন্তু বিশ্বাস করুন ওতে প্রকৃত সুখ নেই বরং হাজারটা উদাহরণ পাবেন এগুলোই (উচ্চশিক্ষা,ডিগ্রী,অত:পর চাকরি) অশান্তির কারণ হয়েছে!
.
(খ) বংশঃ
বংশ
ভাল
হওয়া
অবশ্যক!
কিন্তু
বংশ
মানে
এই
নয়
যে,তা খান-চৌধুরী এজাতীয় কিছু হতেই হবে!
দাদা
ব্রিটিশ আমলে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন কিনা, বাবা সিএসপি অফিসার ছিলেন কি না, চৌদ্দগুষ্ঠি পাঠান কি না, আত্মীয়দের দুনিয়াবি যোগ্যতা কেমন ইত্যাদি বংশ দেখার প্যারামিটার না! বংশ দেখার মিটার হল দ্বীন। আপনি পাত্রীর পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের দ্বীনদারিত্ব দেখুন, তাদের খান্দানে দ্বীনী মেজাজ আছে কিনা, ধরে নিতে পারেন মেয়ের মাঝেও দ্বীনের পাবন্দি আছে। দুই তিন পুরুষ আলিম বা আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে আলিম/দ্বীনের বুঝসম্পন্ন লোক আছে কিনা , এগুলো দেখার বিষয়! তবে এটা জাস্ট ধারণার জন্য!
.
(গ) সৌন্দর্যঃ
রূপ
একটা
ভাইটাল
বিষয়!
যেহেতু
আপনি
ভিবিন্ন আজেবাজে ফিল্মে আসক্ত নন অথবা নজরের খিয়ানত করেন নি তাই স্ত্রী কিছুটা সুন্দরী হলেও এটা আপনার জন্য প্লাস পয়েন্ট! কারণ, আপনার ঘরেই চাঁদ আছে, তাই বিয়ের পরে রাস্তায় মোমবাতি দেখার আগ্রহ কমে যাবে! তবে এটা আপনাকে ক্ষণিক তৃপ্তি দিতে পারলেও কিন্তু চোখের শীতলতা এর মাঝে নেই, যদি স্ত্রী বেদ্বীন হয়! আল্লাহ না করুন, বউয়ের আগুনঝরা রূপ লাবণ্যই হয়ত আপনার বরবাদির কারণ হতে পারে। চিন্তা করুনতো, বিয়ে করলেন আপনি অথচ কিছুদিন পরে পালিয়ে গেল অন্য কারো সাথে, সেটা আপনার জন্য কতটা লজ্জাজনক!
তাই
আল্লাহভীরু নারী কালো হলেও সুশ্রী নারী থেকে হাজার গুণ উত্তম! তবে একসাথে যদি দুইটাই পেয়ে যান তাহলে তো আপনার 'চাঁন কপাল'!
.
(ঘ) যা দেখবেনঃ
বিয়ে
যেহেতু
বারবার
করবেন
না
তাই
নিবিড়ভাবে মেয়ের দ্বীনদ্বারিত্বকেই প্রাধান্য দিন! এক্ষেত্রে "ছাড়" দিলে ফিউচারে পস্তাবেন! "মাইয়া দেখতে জাক্কাস, বিয়ের পর মানুষ করে ফেলবো" এজাতীয় চিন্তাভাবনা শয়তানের ধোঁকা মাত্র! পরে একই খাটে থাকতে থাকতে নিজেই "আফ্রিকান জংলী" হয়ে যাবেন!
.
"নামাযী মানেই দ্বীনদার" সবসময় এটা নাও হতে পারে!আমাদের সমাজে নারীদের নামায পড়ার চেয়েও পরিপূর্ণ পর্দা করা অনেক কঠিন! বোরকা পড়লেও অধিকাংশ নারী সেটাকে আন্তরিকভাবে আল্লাহর বিধান হিসেবে মেনে নিতে পারেনি! স্টাইলিশ বোরকার দৈনদশার কথা কি আর বলবো!
.
শেষ
কথাঃ
নিজে
আধা
দ্বীনদার হয়ে প্রাক্টিসিং মুসলিমাহ খুঁজতে যাইয়েন না অথবা প্রাক্টিসিং মুসলিম হয়েও আধা দ্বীনদার খুঁজিয়েন না! কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘কুফু' বা সাদৃশ্য রক্ষা করতে বলেছেন! দুনিয়াবী বিষয়গুলো যেমন মালসম্পদ, আভিজাত্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ডিগ্রী এগুলো যেন আপনার চাইতে বেশি না হয়। পরে সমস্যা হতে পরে।
"আপনার লেভেল থেকে ঠিক একটু কম বা কমসে কম সমতা যেন থাকে, বেশি যেন না হয় " এই নীতিটা সবসময় মাথায় রাখবেন!
জেনারেল শিক্ষিতরা আলিমাহ কমপ্লিট মেয়ে বিয়ে না করাই সাবধানতা! এটা ইলমের কুফু! পক্ষান্তরে, জেনারেল লাইন থেকে উঠে আসা কোন মেয়ে দাওরা পাশ মুফতী বিয়ে না করাও সাবধানতা! সমস্যা হতে শুনেছি, হলেও কিছু করার নেই!
আমার
এই
কথাগুলো মানতে কষ্ট হতে পারে, কিন্তু এটাই বর্তমান বাস্তবতা, ভোক্তভোগীরা ভাল বলতে পারবেন! তবে ব্যতিক্রম যে নেই তা কিন্তু নয়! বহু ব্যতিক্রম আছে। এটা জাস্ট প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে আপাত সতর্কতার একটা ফর্মুলা বললাম আর কি!
আপনি
গ্রহণও
করতে
পারেন
আবার
বর্জনও
করতে
পারেন!
জায্বাকুমুল্লাহু।
.▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
► আপনার যদি পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করুন ও পরবর্তী আপডেট পেতে পেজটি লাইক দিয়ে রাখুন। কেননা রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি মানুষকে হিদায়াতের দিকে ডাকে তার জন্য ঠিক ঐ পরিমাণ সাওয়াব রয়েছে, যে পরিমাণ পাবে তাকে অনুসরণকারীরা।” [সহীহ মুসলিম/২৬৭৪,৬৮০৪]
► ইছলাহ্ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
জেড নিউজ বিডি.কম / সজল
No comments